বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কলাপাড়ায় পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সমাবেশ কলাপাড়ায় নানা আয়োজনে বিশ্ব শিশু দিবস পালিত পটুয়াখালীতে (অবঃ) পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় জমি দখলেরঅভিযোগ জিয়া মঞ্চ বাবুগঞ্জ উপজেলার কর্মী সভা অনুষ্ঠিত গলাচিপায় খাদিজা হত্যার পলাতক আসামি গ্রেফতার কলাপাড়ায় মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ বাউফলে ইউএনও’র” অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ বরিশালের বাবুগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড যত দ্রুত সম্ভব বর্তমান সরকার একটি নির্বাচন দিয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করবে-” মেজর (অব.) হাফিজ পটুয়াখালীতে সরকারি প্রসিকিউটর (জিপি) হলেন এ্যাড,আব্দুল্লাহ ইউসুফ কলাপাড়ায় কৃষক সমিতির মানববন্ধন ও সমাবেশ বাউফলে ইউএনও’র বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কুয়াকাটা সৈকতের পাবলিক টয়লেট থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার শ্রমিক ট্রান্সপোর্টের উদ্যোগে মুনাজাত অনুষ্ঠিত শোক সংবাদ। কলাপাড়ায় সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল মালেক শিকদার আর নেই
শিক্ষার্থীদের সনদ লিখে যাচ্ছেন মুহিত

শিক্ষার্থীদের সনদ লিখে যাচ্ছেন মুহিত

Sharing is caring!

ক্রাইমসিন ডেক্স:সিলেট:নিজে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারলেও ২৬ বছর ধরে লিখছেন দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সনদ। তিনি হলেন- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল মুহিত হেলালের কথা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে শাবিপ্রবিতে ৩ বার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালের ২৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর এবং সর্বশেষ (তৃতীয়) সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি।

এ তিন সমাবর্তনেই নিজের হাতে লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ এবং মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ১১ হাজার সনদ। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রায় ২৬ বছর ধরে নিজ হাতে লাখের বেশি শিক্ষার্থীর সাময়িক ও মূল সনদ লিখেছেন মুহিত হেলাল।

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় বেড়ে উঠেছেন মুহিত। তবে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন সিলেট মদন মোহন কলেজ থেকে। পরে এল.এল.বি সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে নিজে না পারলেও সন্তানকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে চান মুহিত। ছেলের সনদটিও নিজের হাতেই লেখতে চান তিনি।

মো. আব্দুল মুহিত হেলাল বলেন, সর্বশেষ তৃতীয় সমাবর্তনে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর মিলিয়ে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর সনদ লিখেছেন তিনি। খুব কম সময়ে সনদগুলো লিখতে গিয়ে অসুস্থও হয়েছি, তবুও দমে যায়নি।

শিক্ষার্থীদের সনদ লেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, শাবিপ্রবি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছেন, পার করছেন ভালো কর্মজীবন। তাদের অর্জনে আমিও অংশীদার হতে পেরে আনন্দ লাগে, তাই এ কাজটা করতে আমার অনেক ভালো লাগে।

প্রসঙ্গত, আব্দুল মুহিত ১৯৯৬ সাল থেকে শাবিপ্রবিতে মাস্টার রোলে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১ নভেম্বর ২০০০ সালে ক্যালিওগ্রাফার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র ক্যালিওগ্রাফারের পদ পান। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন মুহিত।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD